লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা এলাকা থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থা ইতি বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
তবে গলায় রশি পেঁচানো থাকলেও পা বিছানায় গেলে থাকায় সন্দেহ হলে রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শ্বাশুড়িকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
শুক্রবার (০৯জুন) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের বাউরা বাজার এলাকায় শ্বশুর বাড়ি থেকে ইতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ইতি বাউরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল মিয়ার ছেলে ট্রাকের সহকারী চালক আল আমিনের (২২) স্ত্রী ও পাটগ্রাম উপজেলার স্টেশন পাড়ার ইসরাফিল ইসলামের কন্যা।
নিহত ইতির ননদ দুলালি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আল আমিন বাড়িতে না আসায় বাড়ীতে মনোমালিন্য চলছিলো। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে পরিবারের সবাই ভাত খেয়ে ঘুমাতে যায়। ইতি না খেয়ে তার শোবার ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। পরে ইতির শ্বাশুড়ি খাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে ইতির দরজা বন্ধ পেয়ে বেঁড়ার ফাঁক দিয়ে ইতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। নিহতের এক পা ছিলো মাটিতে অপর পা বিছানায় গেলে ছিলো। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাটগ্রাম থানা পুলিশ ইতির লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। পরে রাত ৩টার দিকে ইতির শ্বাশুড়ি আমেনা বেগমকে (৫৫) আটক করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ওমর ফারুক গৃহবধূ ইতির মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।